উত্তর কোরিয়ার চলমান ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এর জন্য হিলারি ক্লিনটনকে দায়ী করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার সাধারণ পরিষদে দেওয়া ট্রাম্পের দেয়া ভাষণের সমালোচনা করার পরিপ্রেক্ষিতে হিলারি সম্পর্কে টুইটারে এ মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প বলেছেন, পরমাণু কর্মসূচি থেকে সরে না আসলে ‘উত্তর কোরিয়াকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করা ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় নেই। রকেট ম্যান (কিম জং উন) নিজে এবং তার দেশকে আত্মঘাতী অভিযানের দিকে পরিচালিত করছে।’ এছাড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী এ যাবতকালের সবচেয়ে শক্তিশালী বাহিনী হতে যাচ্ছে। মঙ্গলবার একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, তিনি সাধারণ পরিষদে দেওয়া ট্রাম্পের ভাষণের কিছু অংশ শুনেছেন। তার কাছে মনে হয়েছে, এটা ছিল ‘বেশ অন্ধাকারাচ্ছন্ন ও বিপজ্জনক’ এবং ‘বিশ্বের শ্রেষ্ঠ একটি দেশের নেতার যেমন ভাষণ দেওয়া উচিৎ ছিল এটি তেমন ছিল না।’ উত্তর কোরিয়ার ব্যাপারে ট্রাম্পের হুমকি প্রসঙ্গে হিলারি বলেন, ‘আপনাকে কূটনীতি দিয়ে কাজ করতে হবে। যেভাবে পারেন সংঘর্ষ যাতে এড়ানো যায় সেই প্রতিশ্রুতি নিয়ে আপনাকে কাজ করতে হবে।’ মঙ্গলবার রাতে হিলারির এই মন্তব্যের সমালোচনা করে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে হিলারি উত্তর কোরিয়াকে গবেষণা ও পরমাণু অস্ত্র তৈরির সুযোগ দিয়েছিলেন। সেই হিলারি এখন সমালোচনা করছে।

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নৃশংসতা ও দমন-পীড়নের শিকার সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের জন্য দেড় কোটি ডলার সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ১২২ কোটি ৯৬ লাখ ২৬ হাজার টাকা।

সৌদির রয়্যাল কোর্টের উপদেষ্টা ও কিং সালমান সেন্টার ফর রিলিফ অ্যান্ড হিউম্যানিটারিয়ান ওয়ার্কের তত্ত্বাবধায়ক ড. আবদুল্লাহ আল-রাবিয়াহ এই ঘোষণা দিয়েছেন। সৌদি প্রেস এজেন্সিতে (এসপিএ) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার তিনি বলেন, সালমান সেন্টারের একটি বিশেষ দল রোহিঙ্গাদের দুর্দশার চিত্র নির্ণয় করতে বাংলাদেশে যাবে। সেখানে তারা নির্ধারণ করবে শরণার্থীদের ত্রাণ, মানবিক সাহায্য ও আশ্রয়সহ কোন ধরনের জরুরি সহযোগিতা প্রয়োজন।

তিনি জানান, বাদশার নির্দেশনা অনুযায়ী শরণার্থীদের সহযোগিতার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে, এর মধ্যে কিছু প্রকল্প বিভিন্ন স্তরে বাস্তবায়ন করা হবে।

চলতি সপ্তাহে সৌদি মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে মিয়ানমারের মুসলমানদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতনের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব পাস হয়েছে।

মিয়ানমারের সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর নির্যাতন বন্ধ করে কোনো ধরনের বৈষম্য ও বর্ণবাদী বিভাজন ছাড়াই তাদের সমান অধিকার দিতে সৌদি বাদশা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জরুরি ব্যবস্থা দিতে যে আহ্বান জানিয়েছিলেন তা মন্ত্রিপরিষদ পুনর্ব্যক্ত করেছে।

জেদ্দার আল সালাম প্রাসাদে সাপ্তাহিক ওই অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন সৌদি বাদশাহ এবং দুই পবিত্র মসজিদ মক্কা মুকাররমা ও মসজিদে নববির জিম্মাদার সালমান বিন আবদুলআজিজ আল সৌদ।

বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা রোহিঙ্গাদের নির্বিচারে হত্যা, তাদের ওপর বর্বরোচিত হামলা এবং গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানান। তাঁরা বলেন, এ ধরনের অপরাধ ও তাণ্ডবের মাধ্যমে বহু গ্রাম ও বাড়ি ধ্বংস করে দেওয়া মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বরতম ও রক্তক্ষয়ী সন্ত্রাসের নমুনা।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর